পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে...
শনিবার, জুলাই ২৭, ২০২৪

অগ্নিসন্ত্রাস যারা করছে, তাদের ক্ষমা করা হবে না : শেখ হাসিনা

ছয় দফা নিউজ ডেস্ক: আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচন বানচাল করতেই আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে ভীতি সৃষ্টি করা হচ্ছে। অগ্নিসন্ত্রাস যারা করছে, তাদের ক্ষমা করা হবে না।

আজ বুধবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে সিলেটে হযরত শাহজালাল (রহ.) ও হযরত শাহপরান (রহ.) এর মাজার জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপাকালে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারে এলে দেশের উন্নয়ন করে। ২০০৯ সালে সরকার গঠন করেছিলাম, বাংলাদেশের জনগণ ২০১৪ সালে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে, ২০১৮ সালে নির্বাচিত করেছে। আজকে আমি যে সিলেটে এসেছি, এখানে আর কেউ ভূমিহীন-গৃহহীন নেই। প্রত্যেকটি ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষকে আমরা ঘর করে দিয়েছি। চিকিৎসাসেবায় কমিউনিটি ক্লিনিক দিয়েছি। মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো আমরা পূরণ করে দিয়েছি। যে কাজগুলো বাকি আছে, আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ যদি নৌকা মার্কায় ভোট দেয়, আবার যদি সরকার গঠন করতে পারি, ইনশাল্লাহ পুরো বাংলাদেশটাই আমরা উন্নত-সমৃদ্ধ করব। কোনো মানুষই ঠিকানাহীন, ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে পুরো বাংলাদেশকে আমরা উন্নত-সমৃদ্ধ করব, এটাই আমাদের লক্ষ্য।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি, কিন্তু সেটাকে কার্যকর করতে হবে। আমি জানি, আমাদের সরকার এলেই এটা কার্যকর হবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা নির্বাচন করতে চায় না, করবে না। আগুন দিয়ে সরকারি সম্পত্তি পোড়ানো, সরকারি সম্পত্তি মানে জনগণের সম্পত্তি, নতুন করে রেল, কোচ নিয়ে এসেছি; রেললাইন তুলে ফেলে এক্সিডেন্ট ঘটিয়ে মানুষ হত্যা করা, এগুলো সম্পূর্ণ সন্ত্রাসী কাজ, জঙ্গিবাদী কাজ। আর এসব সন্ত্রাসী-জঙ্গিবাদী কাজ করে যাচ্ছে বিএনপি-জামায়াত জোট মিলে। বিএনপি এই একইভাবে ২০৩-২০১৪তেও মানুষ পুড়িয়ে মারতে দেখেছি। এটা কোন ধরনের আন্দোলন?’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গতকাল যে ঘটনা ঘটল, তারা হরতাল দিয়েছে, জনগণ সেটি মানেনি। তাদের ডাকে কোনো সাড়া দেয়নি, তাদের বোঝা উচিত—এদেশের মানুষ নির্বাচন চায়, ভোট দিতে চায়। আমরা ভোটের জন্য সম্পূর্ণ উন্মুক্ত করে দিয়েছি। সবাই দাঁড়াবে, সবাই কাজ করবে, জনগণ যাকে বেছে নেয়। কিন্তু আমরা কী দেখলাম! রেলে আগুন দিল, একজন মা তার সন্তানকে নিয়ে সে আগুনে পুড়ে মারা গেল। মা সন্তানকে বুকে জড়িয়ে রেখেছিল। এর চেয়ে কষ্টের দৃশ্য মনে হয়, আর কিছু হতে পারে না। কী করে এভাবে মানুষ হত্যা করল?’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘নারী-শিশু, সাংবাদিকদের ওপর হামলা, প্রধান বিচারপতির ওপর হামলা, জাজেস কোয়ার্টারে হামলা, জনগণের ওপর হামলা এটা কোন ধরনের রাজনীতি? জনগণের কাছে তাদের কর্মসূচি নিয়ে যাবে, জনগণ যদি তাদের ডাকে সাড়া দেয়, তখন আসবে। কিন্তু মানুষকে মেরে ভীতি সৃষ্টি করে, তারা নির্বাচন বানচাল করবে, তাদের অভিজ্ঞতা নাই? ১৩তে পারেনি, ১৪তে পারেনি, তাহলে কেন আবার আগুন দিয়ে পোড়ানো। একজন লন্ডনে বসে হুকুম দেয়, তারা এখানে থেকে আগুন দেয়। বাংলাদেশকে নিয়ে এ ধরনের খেলা, এই দুর্বৃত্তপনা বাংলাদেশের মানুষ কেউ মেনে নেবে না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভোট জনগণের সাংবিধানিক অধিকার। সেই ভোট দিতে জনগণকে বাধা দেওয়া, তাদের হত্যা করার অধিকার কারও নেই। এটা বাংলাদেশের কেউ মানবে না। এটা যারা করবে, তাদেরকে একদিন এদেশের মানুষ উৎখাত করবে।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা সমস্ত জায়গায় পরিকল্পনা করে ব্যবস্থা নিচ্ছি। এই যে হঠাৎ তারা এ ঘটনাগুলো ঘটিয়ে ফেলে। যারা এই অগ্নিসন্ত্রাসে জড়িত, যারা এই হত্যা করছে, কারো ক্ষমা নেই। তাদের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেবই। এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে জনগণকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারেনি।

তথ্যসূত্রঃএনটিভি অনলাইন

আরো পড়ুন

মতামত দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সর্বশেষ সংবাদসমূহ

বিশেষ সংবাদ