পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে...
শনিবার, জুলাই ২৭, ২০২৪

খুলনায় আজ ২৪ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

ছয় দফা নিউজ ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুলনা সফর করছেন আজ। বিকাল ৩টায় খুলনার ঐতিহাসিক সার্কিট হাউস ময়দানে খুলনা মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিভাগীয় মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন তিনি। উদ্বোধন করবেন ২৪টি উন্নয়ন প্রকল্পের। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন আরও পাঁচটি প্রকল্পের। তার এই সফরকে ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণের পাশাপাশি গড়ে তোলা হয়েছে তিন স্তরের বিশেষ নিরাপত্তা বলয়।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে তার সফরসূচিতে দেখা যায়, ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে দুপুর পৌনে ১টায় খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে নির্মিত হ্যালিপ্যাডে অবতরণ করবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত সার্কিট হাউস মিলনায়তনে বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করবেন। সভাশেষে নামাজ আদায় ও মধ্যাহ্নভোজের ৪৫ মিনিটের বিরতি শেষে মূল অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন শেখ হাসিনা। পৌনে তিনটায় তিনি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। সবশেষ বিকাল ৩টায় সার্কিট হাউস ময়দানে দেবেন ভাষণ। পরে ৪টা ৪৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী আবার হেলিকপ্টারযোগে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে শিল্প, বন্দর ও বিভাগীয় নগরী খুলনায় বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। নগরীর সড়কগুলোতে নির্মাণ করা হয়েছে দুই শতাধিক তোরণ, মোড়ে মোড়ে শোভা পাচ্ছে রং-বেরঙের ব্যানার, ফেস্টুন, বিলবোর্ড ও প্ল্যাকার্ড। সার্কিট হাউস ময়দানের আবাহনী ক্রীড়াচক্র প্রান্তে তৈরি করা হয়েছে নিচে নৌকা, উপরে পদ্মা সেতুর আদলে ১৩০ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ৪০ ফুট প্রস্থের সুবিশাল মঞ্চ। মঞ্চের উচ্চতা সাড়ে ১৩ ফুট। একসঙ্গে অন্তত ৪০০ জন অতিথি বসতে পারবেন এ মঞ্চে।

খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন জানান, বিভিন্ন দফতর থেকে পাওয়া উন্নয়ন প্রকল্প কাটছাঁট করে ২৯ প্রকল্প উদ্বোধনের জন্য প্রস্তাবনা ঢাকায় পাঠানো হয়। এগুলোর সবকয়টি অনুমোদন হয়েছে। এর মধ্যে ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে চলমান ২৪টি প্রকল্প এবং ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে আরও পাঁচটি প্রস্তাবিত প্রকল্প রয়েছে।

তিন স্তরের কঠোর নিরাপত্তা বলয়
প্রধানমন্ত্রীর খুলনায় আগমন ও সার্কিট হাউস মাঠের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তিন স্তরের কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলেছে। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খুলনায় আগমন ও সার্কিট হাউস ময়দানের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে তিন স্তরের কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। পোশাক ও সাদা পোশাকে মহাসমাবেশস্থল, তার আশপাশে এবং মহাসমাবেশস্থলের বাইরে মেট্রোপলিটন পুলিশ, জেলা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, রেলওয়ে পুলিশ, নৌপুলিশ ও র‌্যাবের সমন্বয়ে নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। বিশেষ করে সমাবেশস্থলে নারী-পুরুষসহ লাখ লাখ মানুষ উপস্থিত হবেন-তাদের সার্বিক নিরাপত্তায় সার্কিট হাউস ময়দান ও আশপাশ এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা বিভাগের সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করবেন।

কেন্দ্রীয় নেতাদের শেষ প্রস্তুতি পরিদর্শন
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাস্থলের সর্বশেষ প্রস্তুতি পরিদর্শন করেছেন বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন এবং খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল। এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন ও বি এম মোজাম্মেল হক, নগর শাখার সভাপতি তালুকদার আবদুল খালেক, সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারীসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা এবং প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সঙ্গে ছিলেন।

শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল বলেন, দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক কিছু দিয়েছেন। তাই তাকেও আমাদের অনেক কিছু দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। জনসভাস্থলকে জনসমুদ্রে পরিণত করে আমরা সেটি দেখিয়ে দিতে চাই। এ অঞ্চলের মানুষ তার সঙ্গে ছিল এবং আগামীতেও থাকবে।

শেখ হেলাল উদ্দিন বলেন, স্বাধীনতার পর খুলনার জনসভা হবে সর্ববৃহৎ জনসভা। যেখানে সরকারপ্রধান ও দলীয় প্রধান আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও উন্নয়ন নিয়ে কথা বলবেন। দেবেন আগামী দিনের জন্য দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্যও। রাজপথে থেকে কীভাবে বিরোধী দলের জ্বালাও-পোড়াও কর্মসূচি মোকাবিলা করা হবে সে নির্দেশনাও দেবেন তিনি।

তথ্যসূত্রঃসময়ের আলো

আরো পড়ুন

মতামত দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সর্বশেষ সংবাদসমূহ

বিশেষ সংবাদ