পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে...
শুক্রবার, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৪

তফসিল বাতিলের বিবৃতির প্রতিবাদ ৩৮৫ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তার

ছয় দফা নিউজ ডেস্ক:
আসন্ন সংসদ নির্বাচনের তফসিল বাতিলে ১৪১ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা যে বিবৃতি দিয়েছেন তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন ৩৮৫ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা ও বিশিষ্টজন।

শুক্রবার গণমাধ্যমকে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা বলেন, জাতীয় নির্বাচনের তফসিল বাতিলের দাবিতে ১৪১ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তার বিবৃতিটি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। বিবৃতির বিষয়টি বস্তুনিষ্ঠ নয়। যেসব তথ্য উল্লে­খ করা হয়েছে তা ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, অসত্য ও বিভ্রান্তিকর’।

বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। কমিশন এই তফসিল ঘোষণার আগে কমিশনের সব স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে বহুবার আলোচনা করেছে এবং নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে কমিশনের সঙ্গে মতবিনিময়ের জন্য একাধিকবার আমন্ত্রণ জানিয়েছে। কমিশনের এই আহ্বানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করলেও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ও সমমনা দলগুলো কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করেনি। এমনকি তাদেরকে কমিশন থেকে পৃথকভাবে আমন্ত্রণ জানানো হলেও তারা সে আলোচনায় সাড়া দেয়নি। যা রাজনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত।

সেখানে আরও বলা হয়েছে, সরকারের পদত্যাগের দাবিতে অগ্নিসংযোগ, সন্ত্রাস, প্রধান বিচারপতিসহ অন্যান্য বিচারকদের বাসভবনে হামলা, কর্তব্যরত পুলিশকে নির্মমভাবে হত্যা, সাংবাদিকদের ওপর হামলা, হাসপাতালসহ অন্যান্য স্থাপনায় হামলা করা হয়েছে। এই একই মহল নির্বাচন প্রতিহত করার জন্য ২০১৪ সালেও একইভাবে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, সড়কপথে বৃক্ষ কর্তন, নির্বাচন অফিসগুলোয় অগ্নিসংযোগ, ভোটারদের নির্মমভাবে প্রহার-এমনকি কর্তব্যরত প্রিজাইডিং অফিসারকে ব্যালট বাক্সের ওপরে কুপিয়ে হত্যা করার মতো নৃশংস ও বর্বরোচিত ভূমিকা নিয়েছিল। এখনও সেই একই মহল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর তাকে একতরফা নির্বাচন তফসিল বলে আখ্যায়িত করে তা বাতিলের দাবি করছে।

বিবৃতিদাতারা বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্বাচনের বিধিসম্মত তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে যে যেখানে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে নিবন্ধিত সব দলের অংশগ্রহণের উন্মুক্ত সুযোগ বিদ্যমান, তাকে ‘একতরফা তফসিল’ বলার কোনো অবকাশ আছে বলে আমরা মনে করি না।

বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীরা হলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক, ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, সাবেক আইজিপি মোহাম্মদ নুরুল হুদা ও হাসান মাহমুদ খন্দকার, সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী, রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফয়েজ আহমেদ, সাবেক মুখ্য সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ, সাবেক অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এ মান্নান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. হারুন-অর-রশিদ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. ইকবাল আর্সলান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. দীন মোহাম্মদ নুরুল হকসহ আরও অনেকে।

তথ্যসূত্রঃইত্তেফাক

আরো পড়ুন

মতামত দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সর্বশেষ সংবাদসমূহ

বিশেষ সংবাদ