ছয় দফা নিউজ ডেস্ক: চার নারীসহ ১১৪ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। গাজায় গত বছরের অক্টোবরে হামাস-ইসরায়েল সংঘাতের পর তাদের বন্দি করেছিল ইসরায়েলি বাহিনী (আইডিএফ)। গতকাল বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ইসরায়েলের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পাওয়াদের মধ্যে অন্তত চারজন নারী রয়েছেন বলে জানা গেছে। খবর আনাদোলু এজেন্সি।
গাজার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বরাতে আনাদোলু জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি বন্দিদের উপত্যকাটির দক্ষিণাঞ্চলের আবু সালেম ক্রসিং সীমান্তে ছেড়ে দেয় ইসরায়েলি বাহিনী। এ সময় তাদের বেশ কয়েকজনকে অসুস্থ অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে মুক্তি পাওয়া এক নারী এবং আরো ৯ জনকে জরুরি চিকিৎসকার জন্য রাফাহ শহরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ইসরায়েলি কারাগারে বন্দিদের ব্যাপক শারিরীক নির্যাতন করায় তাদের বেশ কয়েক জনের হাত ও পায়ের হাড় ভেঙে গেছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এছাড়া কারো কারো মাথায় ও ঘাড়ে জমাট রক্তের আলামত পাওয়া গেছে। অনেকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্যথার কথাও জানিয়েছেন।
এর আগে গত বছরের ২৭ অক্টোবর গাজায় স্থল অভিযানের সময় ব্যপক ধরপাকড় চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর বলছে, সে সময় অন্তত শতাধিক ফিলিস্তিনিকে গ্রেফতার করেছে আইডিএফ। তবে গ্রেফতারের বিষয়ে কোনোরকম তথ্য দেয়নি তেল আবিব।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর নির্বিচার হামলা শুরু করে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বাহিনী। এতে এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ২৭ হাজর ১৯ জন ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন ৬৬ হাজার ১৩৯ জন। এছাড়া আইডিএফের অবরোধের ফলে উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে না পারায় এখনো অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে ইসরায়েলের দাবি, গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন এক হাজার ২০০ ইসরায়েলি। জিম্মি হয়েছেন ২৫০ জনেরও বেশি মানুষ যাদের অনেককে সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে মুক্তি দিয়েছে হামাস।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, হামাসের হামলার পর পুরো গাজাকে অবরুদ্ধ করে তেল আবিব। ফলে অঞ্চলটিতে শুরু হয় তীব্র খাদ্য ও জ্বালানি সংকট। এছাড়া আইডিএফের বোমা বর্ষণে গুঁড়িয়ে গেছে গাজার প্রায় ৫০ শতাংশ বসতবাড়ি, বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় ৮৫ শতাংশ গাজাবাসী।