ছয় দফা নিউজ ডেস্ক:
গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করা না গেলে সেখানে বোমা হামলায় মৃত্যুর চেয়েও বেশি মানুষের মৃত্যু ঘটতে পারে চিকিৎসা না পেয়ে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এই সতর্কবার্তা দিয়েছে। বিবিসি বলছে, গাজার জাতিসংঘ পরিচালিত কেন্দ্রগুলোতে মানুষের উপচে পড়া ভিড়ের মধ্যে শিশুরা ব্যাপকহারে ডাইরিয়া এবং শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। জাতিসংঘ কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় নিয়ে আছে প্রায় ১১ লাখ মানুষ।
জাতিসংঘের হিসাব মতে, গাজায় গত ৭ সপ্তাহে ইসরাইলের হামলা থেকে বাঁচতে ১৮ লাখের বেশি মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে। প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষই আশ্রয় নিয়ে আছে ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক জাতিসংঘ সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ-এর ১৫৬টি কেন্দ্রে। ক্যানসারের মতো ক্রনিক রোগে আক্রান্ত রোগীরাও কোনো চিকিৎসা পাচ্ছে না বলে জানিয়েছে বিবিসি।
জাতিসংঘের হিসাব মতে, গাজার উত্তরাঞ্চলে মাত্র ৫টি হাসপাতাল আংশিক সচল আছে। গাজার উত্তরের এই এলাকায় ইসরাইলের স্থল অভিযান চলছে। আর গাজার দক্ষিণাঞ্চলে সচল আছে ১১টি হাসপাতালের মধ্যে ৮টি হাসপাতাল। ইসরাইল গাজার উত্তরের লোকজনদের এই দক্ষিণেই সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল।
দক্ষিণের হাসপাতালগুলোর মধ্যে কেবল মাত্র একটি হাসপাতালেই গুরুতর ট্রমা রোগীদের চিকিৎসা এবং জটিল অস্ত্রোপচার করার সক্ষমতা আছে। ডব্লিউএইচও এর মুখপাত্র মার্গারেট হ্যারিস সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘আমরা গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে পুনরায় সচল করে তুলতে না পারলে এর পরিণামে বোমা হামলায় আমরা যত মানুষকে মরতে দেখছি, তারচেয়েও আরও বেশি মানুষকে রোগে ভুগে মরতে দেখব।’
ডব্লিউএইচওর মুখপাত্র মার্গারেট হ্যারিস জেনিভায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ওই সব কেন্দ্রের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা গেছে, সেখানে আশ্রয় নেওয়া মানুষদের মধ্যে সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে। পাঁচ বছর ও এর বেশি বয়সি শিশুদের মধ্যে দেখা গেছে ডায়রিয়ার প্রকোপ; যার মাত্রা নভেম্বরের শুরুর দিকে ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে ১০০ গুণ বেশি। তাদের জন্য নেই কোনো চিকিৎসা। আর চিকিৎসা ছাড়া বিশেষত, শিশুদের অবস্থা খারাপের দিকে যেতে পারে এবং তারা খুব দ্রুতই মারা পড়তে পারে।