ছয় দফা নিউজ ডেস্ক: গত ১৫ বছরে দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলাসহ বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হয়েছে। যে পরিবর্তনে আওয়ামী লীগের ব্যবসায়ী জনপ্রতিনিধিদের অংশীদারিত্ব রয়েছে।
স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে জাতীয় সংসদে ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণ তুলনামূলক কম থাকলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা বেড়েছে।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর ৬০ শতাংশই ব্যবসায়ী। ছোট, বড়, মাঝারি শিল্পোদ্যোক্তাদের মধ্যে ২০০ জনের বেশি মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। ২৯৮ জনের চূড়ান্ত মনোনয়নে প্রায় অর্ধশত প্রার্থীকে হিসেবে বেছে নিয়েছে দলটি। এর মধ্যে উৎপাদনমুখী শিল্প সংশ্লিষ্ট অভিজ্ঞ ব্যবসায়ী থেকে তরুণ উদ্যোক্তরা রয়েছেন।
আওয়ামী লীগ মনোনীত নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, দেশের উন্নয়ন হয়েছে, আরও হচ্ছে। সেই উন্নয়নকে এগিয়ে নিতেই আমরা কাজ করবো।
কুমিল্লা-৮ আসনে দলটির মনোনয়ন পেয়েছেন আবু জাফর মো. শাফিউদ্দিন। তিনি বলেন, আমাদের ৬০ বিলিয়ন ডলারের উন্নয়ন বাজেট। আমাদের যে রিজার্ভ আছে সেই রিজার্ভ আগামী দিনে আরও বাড়তে থাকবে। আর উন্নয়নের গতিও বৃদ্ধি পাবে।
পূর্বসূরিদের পথ ধরে রাজনীতির মাঠে আসলেও তরুণ উদ্যোক্তারা বলছেন, উদ্যোক্তা হতে যেমন সৃজনশীল ভাবনা নিয়ে কাজ করেছেন, তেমন আগামীর বাংলাদেশ গড়তে বিশ্ব অর্থনীতিতে টিকে থাকার কৌশল নিয়ে কাজ করবেন।
এদিকে বিভিন্ন পেশাজীবীর রাজনীতিতে আসাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শাহাদাত হোসেন সিদ্দিকী বলেন, ব্যবসায়ীরা সংসদে থাকলে ব্যবসার পরিবেশের সাথে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের পথ আরও মসৃণ হয়।
তবে অর্থনৈতিক অর্জনের ধারা বজায় রাখতে ব্যবসায়ী জনপ্রতিনিধির পাশাপাশি বাজার মনিটরিং ব্যবস্থাকে জোরদার করার আহ্বান জানান এই অর্থনীতিবিদ।