ছয় দফা নিউজ ডেস্ক:
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, গণতন্ত্রকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে নির্বাচনকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক অনাকাক্সিক্ষত। সততা ও সাহসিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির সদস্যদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকালে দায়িত্ব পালনে সততা এবং সাহসিকতা যেন থাকে। বাংলাদেশ একটা প্রজাতন্ত্র। নির্বাচন ছাড়া বাংলাদেশ কখনও প্রজাতন্ত্র হতে পারে না। প্রজাতন্ত্র মানেই জনগণের প্রতিনিধিদের দ্বারা শাসন পদ্ধতি। একনায়কতন্ত্র ও রাজততন্ত্র খুব একটা খারাপতন্ত্র আমরা বলছি না। তবে প্রজাতন্ত্রের শাসন ব্যবস্থা সব থেকে জনপ্রিয়। গণতন্ত্রকে বাঁচিয়ে যদি রাখতে হয় তাহলে নির্বাচনকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক অনাকাক্সিক্ষত।’
আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের জন্য নিয়োজিত ৩০০ নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির প্রশিক্ষণ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সিইসি এসব কথা বলেন।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমরা একটি ফ্রি, ফেয়ার এবং ক্রেডিবল ইলেকশন চাচ্ছি। নির্বাচনে আমরা অবিতর্কিত ফলাফল দেখতে চাই। সব এজেন্ট যেন ফলাফল গ্রহণ করেন।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে দেশে যে বিতর্ক হচ্ছে তা অনাকাক্সিক্ষত। নির্বাচন নিয়ে রাজনীতি দ্বিধাবিভক্ত। নির্বাচন নিয়ে দেশ সংকটে আছে। এখান থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।’
সিইসি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনক হলো আমাদের নির্বাচনে বাইরে থেকে থাবা বা হাত এসে পড়েছে। তারা আধিপত্য বিস্তার করে রেখেছে। ওরা খুব বেশি দাবি করেনি। তাদের একটাই দাবি বাংলাদেশের নির্বাচন ফ্রি, ফেয়ার এবং ক্রেডিবল হতে হবে। আমাদের অর্থনীতি, আমাদের ভবিষ্যৎ, আমাদের অনেক কিছু রক্ষা করতে হলে, সাধারণ জনগণকে বাঁচাতে হলে, আমাদের গার্মেন্টসকে বাঁচাতে হলে নির্বাচনটাকে সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য, বিশ্বাসযোগ্য করতে হবে।’
তিনি বলেন, নির্বাচন ফেয়ারনেসকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক ব্যক্তিরা বিভক্ত হয়ে গেছে, এটা কাক্সিক্ষত ছিল না। সেই জন্য বলা হয় ইলেকশন ক্রেডিবল হতে হবে। ক্রেডিবল বিশ্বাসযোগ্য জিনিস এটা চোখে দেখা যায় না। তারপরও এটাকে বলা হয় পাবলিক পারসেপশন। নির্বাচন ক্রেডিবল ও ফ্রি হয়েছে কি না- ওটা পাবলিক পারসেপশন এটার কোনো মানদন্ড নেই। জনগণকে বলতে হবে নির্বাচন ক্রেডিবল হতে হবে।
সুষ্ঠু, অবাধ ও আইনানুগভাবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আগারগাঁওয়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের প্রথম দিন ১০৫ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। আগামীকাল ১০৩ জন এবং পরদিন ৯২ জন কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।